অর্থনীতি

রাজধানীর ৩৫ পয়েন্টে ৪৫ টাকায় মিলবে পেঁয়াজ

রাজধানীর ঢাকার ৩৫টি পয়েন্টে ৪৫ টাকা করে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। হঠাৎ করে সারাদেশ জুড়ে পেঁয়াজর দাম বেড়ে যাওয়ায় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর মুখপাত্র হুমায়ূন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে এবারও পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা গতকাল রবিবার এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ চিন্তিত নয়।

ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেইন ট্রেড (ডিজিএফটি)-এর এক বিবৃতিতে গতকাল বলা হয়েছে, ‘আজ থেকে সব ধরনের (টাটকা ও হিমায়িত) পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পেঁয়াজর রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে ভারত যে এ ধরনের ঘোষণা দিতে পাওে সে বিষয়ে আমরা সতর্ক থেকে আগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলাম। আমরা বিকল্প উৎস্য থেকে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি।

সচিব জানান, এরই মধ্যে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ নিয়ে দুটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে। পোর্ট চেয়ারম্যানকে আমরা অনুরোধ করেছিলাম দ্রুত খালাসের সুযোগ দেওয়ার, একটি জাহাজের পেঁয়াজ খালাস করা হয়েছে। আরেকটিতেও খালাস প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ ছাড়া তুরস্ক ও মিসর থেকেও দুই-চার দিনের মধ্যে পেঁয়াজ এসে পৌঁছবে।

বাণিজ্য সচিব বলেন, ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় কেউ দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের বাজার মনিটরিং গ্রুপ এবং সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত দেশি পেঁয়াজ রয়েছে। পচনশীল পণ্য বলে এগুলো বেশি দিন মজুদ করা যাবে না। ফলে বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহজনিত কোনো সংকট হবে না। দাম বাড়ারও আশঙ্কা নেই।

ভারতে পেঁয়াজর ফলন হয় মূলত মহারাষ্ট্রের নাসিক, কর্ণাটকের মাকলি এলাকায়। সেখান থেকেই গোটা দেশে পেঁয়াজ সরবরাহ করা হয়। আবার নাসিকের পেঁয়াজ রপ্তানি হয় প্রতিবেশী বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আরব আমিরাতে। চলতি বছরে অতি বর্ষণের কারণে কার্যত বন্যায় ভাসছে নাসিক ও মাকলি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানকার বিঘের পর বিঘে কৃষি জমি। যার প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজ চাষেও। ফলে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে উৎপাদন। যার প্রভাব পড়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে।

দেশীয় বাজারে পেঁয়াজর মূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ডিজিএফটি-এর পক্ষ থেকে টনপ্রতি ন্যূনতম মূল্য বেঁধে দেওয়া হয় ৮৫০ মার্কিন ডলার। এরপর বাংলাদেশেও পণ্যটির দাম ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকায় উন্নীত হয়। বর্তমানে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button