জাতীয়

করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, টিকা নিয়ে এখন মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, যা বিপদ ডেকে আনছে। দেশে দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার ২ শতাংশের ঘরে নেমে গিয়েছিল। এখন তা আবার বেড়ে ৬ শতাংশের কাছাকাছি চলে গেছে। এটা আশঙ্কাজনক। আমরা একটু বেপরোয়া হয়ে গেছি। আমরা মাস্ক ব্যবহার করছি না, কম করছি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কুণ্ঠা বোধ করছি। অনেক বেশি সামাজিক অনুষ্ঠান করছি, যার মাধ্যমে সংক্রমণ আবার বেড়ে গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে গত ৩০ নভেম্বরের পর থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংক্রমণের ধারা নিম্নগামী ছিল। ১৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকে তা আবার বাড়ছে। দুই মাস পর বুধবার এক দিনে হাজারের বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত  হয়েছে; হাসপাতালেও রোগীর সংখ্যা আবার বাড়তে শুরু করেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ ঠেকাতে এরইমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বুধবার সারাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি এ বিষয়ে বৈঠক করেছেন।

“জেলা পর্যায়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। জেলার কমিটি যেন যথাযথ পদক্ষেপ নেয়। বিভিন্ন প্রোগ্রাম যেন সীমিত করে। যেগুলো না করলে সমস্যা হবে না সেগুলো যেন স্থগিত করে।

“বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে কথা হয়েছে, তারা যেন তাদের হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখে। হাসপাতালে যে বেড বরাদ্দ ছিল, সেগুলো আবারও প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসার জন্য যা লাগে, সব ব্যবস্থা করা আছে।”

মন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে আমরা আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে গেছি। বাংলাদেশ থেকে করোনাভাইরাস যায়নি, সময় লাগবে। সংক্রমণ ঠেকাতে এরইমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বুধবার সারা দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি এ বিষয়ে বৈঠক করেছেন।

তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। জেলার কমিটি যেন যথাযথ পদক্ষেপ নেয়। বিভিন্ন প্রোগ্রাম যেন সীমিত করে। যেগুলো না করলে সমস্যা হবে না সেগুলো যেন স্থগিত করে। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে কথা হয়েছে, তারা যেন তাদের হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখে। হাসপাতালে যে বেড বরাদ্দ ছিল, সেগুলো আবারও প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসার জন্য যা লাগে, সব ব্যবস্থা করা আছে।

জাহিদ মালেক বলেন, কিছু দেশকে কোভ্যাক্সের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। আমাদের জানানো হয়েছে জুন মাসের আগে আমরা কিছু ভ্যাকসিন পাব। জুনের মধ্যে ১ কোটি ৯ লাখ টিকা দেওয়ার কথা। কিন্তু এখনও সঠিক ডেট দেয় নাই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button