জাতীয়

চলতি বছরের মধ্যেই তিস্তা চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে: শ্রিংলা

চলতি বছরের মধ্যেই তিস্তা চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। তিনি বলেছেন, ‘চলতি বছরের মধ্যে তিস্তার ন্যায্য হিস্যা বাংলাদেশ পাবে বলে আমি আশা করছি।’

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেল ‘বাংলাদেশ এবং ভারত: একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভবিষ্যৎ’-শীর্ষক এক সেমিনারে অংশ নিয়ে এমন আশার কথা জানান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।

ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (বিস) এই সেমিনারের আয়োজন করে।

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে কয়েক দশকের স্থল সীমান্ত বিরোধের নিষ্পত্তি হয়েছে, সমুদ্রসীমা নিয়েও বিরোধ কেটে গেছে দুই দেশের। তবে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে শুষ্ক মৌসুমে সেচের জন্য তিস্তার পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সব ফোরামেই ঢাকার পক্ষ থেকে নয়াদিল্লিকে ওই চুক্তির বিষয়ে তাগিদ দেওয়া হয়।

নয় বছর আগে ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় বহু প্রতীক্ষিত তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় তা আটকে যায়।

২০১৪ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতায় আসার পর বিজেপির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিস্তা চুক্তির আশা দিলেও মমতাকে তিনি রাজি করাতে পারেননি। এরপর থেকে এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের সম্মতির অপেক্ষায় থাকার কথা বলে আসছিল ভারত সরকার।

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে সবচেয়ে বড় ‘কাঁটা’ তিস্তা চুক্তির বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে বারবার আশস্ত করা হলেও চূড়ান্ত রুপ পাচ্ছে না। আগের মতই এবারও আশ্বাস এসেছে ভারত থেকে।

তিস্তা নিয়ে দুই দেশের আগ্রহ রয়েছে জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘দুই দেশই চায় তিস্তা চুক্তি হোক। এটা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।’ তিস্তা ছাড়াও বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অমিমাংসিত নদীর কাজ এ বছরের মধ্যে শেষ হবে বলেও আশাবাদী শ্রিংলা।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আশা করছি চলতি বছরের মধ্যে এটা সম্পূর্ণ হবে। আমরা চেষ্টা করব, যত দ্রুত সম্ভব এটা কার্যকর করার।’

মুজিববর্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর চূড়ান্ত করতে সকালে ঢাকায় পা রাখেন শ্রিংলা। ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করা শ্রিংলার পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে প্রথম বিদেশ সফর।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button