জাতীয়লিড নিউজ

চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস নিয়ে বিরক্ত প্রধানমন্ত্রী

সরকারি চিকিৎসকদের কর্মস্থল এলাকার বাইরে ‘প্রাইভেট প্র্যাকটিস’ নিয়ে আবারও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় আলোচনার এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে বিরক্তি ঝরে বলে সভার পর সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন।

চিকিৎসকদের কর্মস্থলে অনুপস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। অন্য স্থানে প্রাইভেট প্র্যাকটিস না করে হাসপাতালেই তা করার নির্দেশনাও তিনি দিয়েছিলেন, যাতে কর্মস্থলে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়। কিন্তু তারপরও কর্মস্থলে বিশেষ করে মফস্বলের হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চিকিৎসকদের অনুপস্থিতির চিত্র গত বছর দুর্নীতি দমন কমিশনের এক অনুসন্ধানে উঠে আসে।

পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে আবারও ডাক্তাররা নিজেদের চেম্বারে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন না বলে ক্ষোভ, অভিমান, দুঃখ ও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। এর আগেও তিনি এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে ডাক্তারদের নিজ কর্মস্থলে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করার নির্দেশ দেন। কিন্তু এটা এখনো অনেকেই মানছে না।

প্রায় দশক কাল আগে এক একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, সরকারি চিকিৎসকরা তাদের কর্মঘণ্টার পর হাসপাতালেই যাতে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারেন, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ব্যবস্থা চালু থাকলেও আর কোনো হাসপাতালে তা চালু হয়নি। একনেক বৈঠকে প্রত্যেক চিকিৎসককে নিজ নিজ কর্ম এলাকায় থাকার ওপর আবারও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। দুই বছর আগে এক অনুষ্ঠানে তিনি চিকিৎসকদের হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, যারা মফস্বলের কর্মস্থলে না থেকে ঢাকায় এসে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন, তারা যেন চাকরি ছেড়ে দেন।

গতকালের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার নির্দেশও দেন বলে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, সভায় ‘খুলনা-চুনকা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক চার লেইনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়ার সময় ভিডিও ফুটেজ দেখানো হচ্ছিল, তখন দেখা যায় অনেক যানবাহন এলোপাতাড়িভাবে রাখা, সড়কও আঁকাবাঁকা। ওই ভিডিও দেখে প্রধানমন্ত্রী সড়কের শৃঙ্খলা ফেরানোর নির্দেশ দেন। মন্ত্রী বলেন, সড়কে যাতে অতিরিক্ত মালামাল নিয়ে যানবাহন না চলে, তার ওপর নজরদারি রাখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button