জাতীয়

ঢাকার বাইরের শ্রমিকদের ৫ আগস্টের পর যোগ দেয়ার অনুরোধ

চলমান লকডাউনের মধ্যেই আগামীকাল ১ আগস্ট (রোববার) থেকে গার্মেন্টসসহ রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তবে ঢাকার বাইরের শ্রমিকদের ৫ আগস্টের পর কাজে যোগ দেয়ার অনুরোধ অনুরোধ জানিয়েছেন বিজিএমই।

সংগঠনটি জানায়, বিধিনিষেধের কারণে বেশিরভাগ শ্রমিক এখনো তাদের গ্রামের বাড়িতে রয়েছেন। লকডাউনের কারনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সব শ্রমিকের পক্ষে রোববার কাজে যোগ দেওয়া সম্ভব হবে না। তাই ঢাকার বাইরের শ্রমিকদের ৫ আগস্টের পর কাজে যোগ দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বিজিএমই। এ সময়ের মধ্যে যেসব শ্রমিক কাজে যোগ দিতে পারবেন না তাদের চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হবে না বলেও জানায় সংগঠনটি।

এদিকে লকডাউনের মধ্যে কারখানা খুলে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ঈদ করতে গ্রামে যাওয়া শ্রমিকরা। তাদের স্ব স্ব কর্মস্থলে ফিরিয়ে আনতে পরিবহন ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।

এর আগে শিল্প কারখানা খুলে দিতে অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবর দফায় দফায় চিঠি দিয়েছিল বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে দেখা করেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের নেতারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে রপ্তানিমুখী কারখানাকে ১ আগস্ট সকাল ৬টা থেকে বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত রাখার সিদ্ধান্ত জানায়।

শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যে আগামী ১ আগস্ট থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রপ্তানিমুখী সকল শিল্প ও কল-কারখানা খোলা থাকবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দ্রুত দেশের রপ্তানিখাতসহ সব উৎপাদনমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানায় ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ১৪ দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। এই বিধি নিষেধের মধ্যে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ যানবাহন, দোকানপাট, শপিংমল এবং গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে ঈদের পর থেকেই শিল্প-কারখানা খোলার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন শিল্প-কারখানার মালিকরা। ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আজ গার্মেন্টসসহ রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button