জাতীয়

মালয়েশিয়ার ফ্লাইট চালু, যেতে পারবেন যারা

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে মালিন্দো এয়ার। আগামী ৭ জুলাই মঙ্গলবার থেকে প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা করবে তারা।

তবে মালয়েশিয়ান সিভিল অ্যাভিয়েশনের কিছু বিধিনিষেধ থাকায় যে কেউ চাইলেই দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবে না।

দেশটির সিভিল অ্যাভিয়েশনের বরাত দিয়ে মালিন্দো এয়ার জানিয়েছে, আগামী ৭ তারিখ থেকে সপ্তাহে ২টা ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে মালিন্দো এয়ার। এক্ষেত্রে ফ্লাইটে শুধুমাত্র মালয়েশিয়ান নাগরিক, যারা মালয়েশিয়ান নাগরিক বিয়ে করেছেন, মালয়েশিয়ায় যারা সেকেন্ড হোম করেছেন, শিক্ষার্থী ভিসা ও প্রফেশনাল ভিসায় যারা আছেন শুধুমাত্র তারাই এই মুহূর্তে যেতে পারবেন।

দেশটিতে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিক ও পর্যটকরা আপাতত সেখানে যেতে পারবেন না।

এর আগে শুক্রবার ফ্লাইট পরিচালনার আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) মালিন্দোকে অনুমতি দেয়।

মালিন্দো কুয়ালালামপুর হয়ে অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়াসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি যাত্রী বহন করে আসছে।

মালিন্দোর পাশাপাশি শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সকে সপ্তাহে একটি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে বেবিচক। শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে শুধুমাত্র অন্যান্য দেশের ট্রানজিট যাত্রীরাই এই ফ্লাইটে যেতে পারবে।

বেবিচক সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ সোহেল কামরুজ্জামান বলেন, মালয়েশিয়ায় সপ্তাহে দু’টি ফ্লাইটের অনুমতি দেয়া হয়েছে যাতে শুধুমাত্র ট্রানজিট প্যাসেঞ্জার ও পারমানেন্ট রেসিডেন্টরা যাবেন। শ্রীলঙ্কায় শুধুমাত্র ট্রানজিট প্যাসেঞ্জার যাবে।

আগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনন্স, কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস, এয়ার অ্যারাবিয়া, তুরস্কের তার্কিশ এয়ারলাইন্স ঢাকা রুটে থেকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পায়।

এর আগে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ২১ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ছাড়া সব দেশের সঙ্গে এবং অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল বেবিচক। এরপর আরেকটি আদেশে চীন বাদে সব দেশের সাথে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

এই নিষেধাজ্ঞা সরকারি সাধারণ ছুটির সাথে সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে ১৪ ও ৩০ এপ্রিল, ৭, ১৬ ও ৩০ মে এবং ১৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ১৬ জুন থেকে প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে লন্ডন রুটে ও কাতার রুটে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি পায় বিমান বাংলাদেশ ও কাতার এয়ারওয়েজ। এরপর একে একে অন্যদের অনুমতি দেয়া হয়।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button