শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি; এক নারীর লাশসহ ১৯ জন উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদীর বন্দর কয়লাঘাট নির্মাণাধীন শীতলক্ষ্যা ব্রিজ এলাকায় লঞ্চ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থল থেকে এক যুবতীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এছাড়া আহত অবস্থায় ১৯ জনকে উদ্ধার করে হাসাপাতলে প্রেরণ করা হয়েছে। রাত সাড়ে ১০ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অন্তত ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছে।
এদিকে বৃষ্টি ও প্রচন্ড বাতাসে নদীতে ঢেউয়ের কারণে যথাযথ উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা। এতে ডুবে যাওয়া লঞ্চ এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিটিআই এর ট্রাফিক পরিদর্শক বাবু লাল জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ স্টেশন থেকে এম বি হাবিব আল হাসান নামে লঞ্চটি বন্দর কালুঘাট শীতলক্ষ্যা নদী দিয়ে মুন্সীগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। ওই সময় পেছন থেকে একটি কার্গো জাহাজ লঞ্চটিকে ধাক্কা দিয়ে ভাসিয়ে ৫০ ফুট দূরে ব্রিজের নীচে নিয়ে যায়। এতে লঞ্চটি কাত হয়ে ডুবে যায়।
লঞ্চে থেকে সাঁতরে তীরে ওঠা মুন্সীগঞ্জের বাসিন্দা শ্রমিক আলম মিয়া জানান, আমি লঞ্চের পেছনের ছাদে ছিলাম। হঠাৎ দেখি একটি কার্গো জাহাজ পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে আমাদের লঞ্চটিকে ভাসিয়ে ব্রিজের নীচে নিয়ে আসে। পরে লঞ্চটি ডুবে যায় । আমি ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হই। কিন্তু লঞ্চে প্রায় ৫০-৬০ জন যাত্রী ছিল। তদের মধ্যে ১৫-২০ জন হয়ত সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছে।
এদিকে সন্ধ্যার পর থেকেই নদীর তীরে নিখোঁজ স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে আশপাশের পরিবেশ।
ঢাকা থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক আবদুল্লা আল আরেফীন জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে আমরা উদ্ধার কাজে নামতে পারছি না। আমরা আবহাওয়া অনকূল হলেই উদ্ধার কাজে নেমে যাব। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন আছে।