জাতীয়লিড নিউজশিক্ষাঙ্গন

সেরা ১ হাজারের মধ্যে নেই বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়

এবারও সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পেল অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। জরিপে টানা চার বছর ধরে শীর্ষে আছে বিশ্ববিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। এরপরেই ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং তৃতীয় অবস্থানে আছে কেমব্রিজ।

বিবিসি জানায়, লন্ডনভিত্তিক শিক্ষা বিষয়ক সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে প্রতি বছর এই র‍্যাংকিং প্রকাশ করে। তালিকাটিতে ৯২টি দেশের ১৩০০টি বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তবে র‌্যাংকিংটিতে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান এক হাজারের পরে। বাংলাদেশের এই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ই এই তালিকাতে স্থান পেয়েছে বলে জানায় বিবিসি বাংলা।

র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত এবং পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বেশ ভালো অবস্থানে আছে। তালিকায় তিনশ থেকে শুরু করে এক হাজারের মধ্যে রয়েছে ভারতের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

তালিকায় এক হাজারের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে প্রথম ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে ইসলামাবাদের কায়েদ-ই-আজম ইউনিভার্সিটি।

এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে চীন এবং জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তালিকায় উঠে এসেছে উল্লেখযোগ্য হারে। এমনকি মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত ইরানের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ও এ তালিকায় স্থান পেয়েছে।

শিক্ষার পরিবেশ, গবেষণার সংখ্যা ও সুনাম, সাইটেশন বা গবেষণার উদ্ধৃতি, বিভিন্ন খাত থেকে আয় এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বা সংশ্লিষ্টতাসহ ৫টি মানদণ্ড বিশ্লেষণ করে এই র‌্যাঙ্কিং করা হয়েছে।

র‍্যাংকিংয়ে বিদেশি ছাত্রের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে শূন্য। বিশ্ববিদ্যালয়টির ৪ হাজার ১০৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী নেই কিংবা থাকলেও সেই সংখ্যা সন্তোষজনক নয়।

২০১৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৬০০ থেকে ৮০০ এর মধ্যে। তবে এর বছর দুই পরেই এটির অবস্থান হঠাৎ নেমে যায়। ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান গিয়ে দাঁড়ায় এক হাজারেরও পরে।

এ বছরই মে মাসে ব্রিটিশ শিক্ষা সাময়িকীটি এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছিল। সেই র‌্যাঙ্কিংয়ে এশিয়ার ৪১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ও ছিল না।

সেসময় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার মান ও গবেষণার সুযোগ নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমেও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

এদিকে, বরাবরের মতোই এই তালিকায় কর্তৃত্ব করছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এ বছরের তালিকার প্রথম ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৭টিই যুক্তরাষ্ট্রের।

যার মধ্যে রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, ইয়েল ইউনিভার্সিটি। অক্সফোর্ড এবং কেমব্রিজ ছাড়াও যুক্তরাজ্যের আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষ দশে স্থান পেয়েছে, ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডনের অবস্থান এ তালিকায় দশম।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button