জাতীয়

হরতালের সমর্থনে পল্টন-শাহবাগ মোড় অবরোধ

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে পূর্বঘোষিত বাম গণতান্ত্রিক জোটের অর্ধদিবস দিবস হরতাল চলছে। আজ সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি, বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে এ হরতাল পালন করছে বাম জোটগুলো।

জানা গেছে, সকাল ৬টায় বাংলাদেশ কমিউনিস্ট অফিসের সামনে থেকে সিপিবির সভাপতি মো. শাহ আলমের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি গুলিস্তান মোড়ে পল্টন অবস্থান নেয়।

এ সময় গাড়ি চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে পুলিশের কাঁটাতারের বেড়া রাস্তার ওপর দিয়ে দেয় তারা। পল্টন মোড়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের শরিক দলগুলোও অবস্থান নিয়েছে। জল কামান প্রিজনভ্যানসহ অন্যান্য পুলিশের গাড়ি পল্টন মোড়ে অবস্থান নিয়েছে। এছাড়াও বাম সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা সকালে শাহবাগ মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে সেখানে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শাহবাগমুখী অন্য সড়কগুলোতে যানবাহনে জট তৈরি হয়। বর্তমানে সেখানে সমাবেশ চলছে।

রাজধানীর মিরপুর এলাকায় বাম জোটের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে। ওই মিছিলে হামলা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সেখান থেকে পুলিশ বেশ কয়েক জনকে গ্রেপ্তার করেছে।  জোটের হরতালে মোহাম্মদপুরেও হামলা হয়েছে। সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড খান আহসান হাবিব লাবলু, নিমাই গাঙ্গুলী, লাকী আক্তার, সিপিবি মোহাম্মদপুর থানার সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম জুয়েল, ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা মহানগর সংসদের সহ-সভাপতি আসিফ জামান, শ্রমিকনেতা নুরুজ্জামানসহ অনেকে আহত হয়েছেন।

এছাড়াও বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা হরতাল থেকে কমিউনিস্ট পার্টি খুলনা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ ঢালী, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল, সিপিবি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা কিংশুক রায়, নীরোজ রায়, বাসদ খুলনা জেলার আহ্বায়ক জনার্দন দত্ত নান্টু, গণসংহতি আন্দোলনের খুলনার সমন্বয়ক মুনির চৌধুরী সোহেলকে আটক করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

হরতাল কর্মসূচিতে ৯ দফা দাবি তুলেছে গণতান্ত্রিক বাম জোট। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- দেশের গরিবদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা, সারা দেশে ন্যায্যমূল্যের দোকান খোলা, কৃষিবিদ ট্রাকের সংখ্যা ও খাদ্যপণ্যের দোকান বাড়ানো। এলপিজিসহ গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বৃদ্ধি প্রত্যাহার করা। মূল্যবৃদ্ধির গণশুনানি বাতিল করে হাট-বাজার ও সুপার মার্কেটে নজরদারি ও তাদের তদারকি বৃদ্ধি করা।

বাম জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করছি। কোনো যানবাহন জোর করে আটকাচ্ছি না। হরতালে শ্রমজীবী মানুষদেরও সমর্থন আছে। সরকার যদি জনগণের দাবি না মানে তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি আসবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, হরতাল পালনে কোথাও কোথাও হামলা হচ্ছে। তার দাবি, সরকার পেটুয়া বাহিনী দিয়ে তাদের ওপর হামলা করাচ্ছে।

নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধ এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানোর তৎপরতা বন্ধের দাবিতে আজ সারা দেশে আধা বেলা হরতাল পালনের ডাক দেয় বাম গণতান্ত্রিক জোট। জোটের নেতারা বলেছেন, দুর্গতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় মানুষ হরতালে সমর্থন দেবে। সরকারের পক্ষ থেকে যদি কোনো বাধা না দেওয়া হয়, তাহলে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল কর্মসূচি পালন করা সম্ভব হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button