কুড়িগ্রামে বন্যা দূর্গত এলাকায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যক্রম অব্যাহত
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রাম জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে বানভাসী নিরন্ন মানুষদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে ব্যাপক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। কুড়িগ্রামের নয় উপজেলার বন্যাক্রান্ত এলাকার ৪৩৮ টি আশ্রয়কেন্দ্র, উচু বাঁধ, উচু রাস্তা ও উচু ভিটায় এপর্যন্ত ২৯০টি অস্থায়ী নলকুপ, ৩৫৩ টি অস্থায়ী ল্যাট্রিন স্থাপন সহ ৩ লক্ষ ৪ হাজার ৪শত ৭০ টি পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট, ৪২৯ কেজি ব্লিসিং পাউডার, ৮৬৫ টি পানির জেরিকেন ও ১৭৭ টি হাইজেন কিট বক্স বন্যা দুর্গতদের মাঝে বিতরন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
সূত্র জানায়, বানভাসীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ০৩ টি মোবাইল ওয়াটার টিট্রমেন্ট প্লান্ট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতিটি মোবাইল টিট্রমেন্ট প্লান্ট বন্যা দুর্গত এলাকায় গিয়ে প্রতি ঘন্টায় ২হাজার লিটার পানি বিশুদ্ধ করে বানভাসীদের মাঝে বিতরন করছে। এছাড়াও ৯ উপজেলা যথাক্রমে,কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী, চর-রাজিবপুর, নাগেশ^রী, ভ’রুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে য়ে কোন ধরনের জরুরী অবস্থা মোকাবেলার জন্য প্রতি উপজেলায় ৭০হাজার টি পানি বিশুদ্ধ করন ট্যাবলেট, ২৫টি অস্থায়ী নলকুপ ও ২৫টি অস্থায়ী ল্যাট্রিন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকৌঃ মোঃ সায়হান আলী জানান-বন্যা শুরু হবার আগে থেকেই আমরা প্রস্ততি নিয়ে রেখেছিলাম। একারনে বন্যা শুরু হওয়া মাত্রই কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি। বন্যা পরিস্থিতিকে নিবির পর্যবেক্ষনে রেখে যথাযথ কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে।