রুপনার উচ্চতা ফের ডুবাল বাংলাদেশকে
দলে কমপক্ষে ১০ জন রয়েছেন যাদের উচ্চতা তার চেয়ে বেশি বই কম নয়। অথচ সেই রুপনা চাকমাই বাংলাদেশের সিনিয়র দল থেকে শুরু করে অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যন্ত সবক’টি বয়সভিত্তিক দলের প্রথম গোলরক্ষক। তার এই খর্বাকৃতিই ম্যাচের পর ম্যাচ ডোবাচ্ছে বাংলাদেশকে। তারপরও দীর্ঘকায় কোনো গোলরক্ষক খুঁজে বের করার তাড়া নেই দেশে মেয়েদের ফুটবল নিয়ে কাজ করা কোচদের।
গতকাল যেমন এই গোলরক্ষকের খর্বাকৃতির সুযোগেই বাংলাদেশকে ১-০ গোলে হারিয়ে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপে শুভ সূচনা করল স্বাগতিক থাইল্যান্ড। আর কঠিন গ্রুপে সত্যিকারে জয়ের সেরা সুযোগটাই হাতছাড়া করল মারিয়া-মনিকারা।
মেয়েদের ফুটবল ঐতিহ্যে থাইল্যান্ড অনেকটাই এগিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে। এই আসর তারা নিয়মিতই খেলে। দু-একবার সেমিফাইনাল খেলারও অভিজ্ঞতা রয়েছে থাই মেয়েদের। অথচ তাদের বিরুদ্ধেই গোলের সুযোগে অনেকটাই এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। অন্তত চারটি সহজ সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশের মেয়েদের শুরুটা হলো শূন্য হাতে।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯ মিনিটে নিশানাভেদী এক ফ্রি কিকে স্বাগতিকদের আনন্দে ভাসান থাওয়ানরাত পংথংমি। ডিফেন্ডার আনাম মগিনি বক্সের ঠিক বাইরে অযথা ফেলে দেন জানিস্তা জিনানতুয়াকে। বক্সের ২০ গজ বাইরে থেকে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ান পংথংমি। এর আগে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে আনুচিং মারমা বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে রাখতে পারেননি। পরের মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল পেয়ে দ্রুত বক্সে ঢোকার মুখে আগুয়ান গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও তহুরা খাতুনের শট ফিরে আসে সাইড পোস্টে লেগে।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৫ মিনিটে গোলের আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন তহুরা। মনিকা চাকমার বাড়ানো বল আয়ত্তে নিয়ে বক্সে ঢুকে ডানপায়ে প্লেসিং করেছিলেন এই স্ট্রাইকার। কিন্তু তা কর্নারের বিনিময়ে রুখে দেন পওয়ারিশা হোমিয়ামেন। এরপর ৬৯ মিনিটে থাইল্যান্ডের গোলের পর ৭৭ ও ৮০ মিনিটে আরেক বদলি স্ট্রাইকার সাজেদা খাতুনের শট গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দিলে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে।
১৮ সেপ্টেম্বর তিনবারের চ্যাম্পিয়ন জাপানের মোকাবিলা করতে হবে বাংলাদেশকে।