খেলা

লজ্জা এড়ালেও মাথা হেট জিদানের

এক মৌসুমে এমনি এমনি দুই কোচ বরখাস্ত করেনি রিয়াল মাদ্রিদ। জিদানকে শুধু শুধু ডেকে আনেনি। লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগ সবখানেই নিজেদের সেরা প্রমাণ করতে হবে রিয়ালকে। লা লিগায় জিদানের দল পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আছে। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচেই জয়হীন লস ব্লাঙ্কোসরা। প্রথম ম্যাচে পিএসজির বিপক্ষে ৩-০ গোলের বড় হার। দ্বিতীয় ম্যাচে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে শেষের গোলে ক্লাব ব্রুজের বিপক্ষে ২-২ গোলের সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল। কোন রকম লজ্জা এড়ায়।

ম্যাচের ৯ মিনিটের মাথায় ইমানুয়েল ডেনিস গোল করে ব্রুজকে এগিয়ে নেয়। আনকোরাভাবে গোল খান চেলসির সাবেক বেলজিয়াম গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। ইমানুয়েল বলে শট নেওয়ার আগেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। ভুল করে অন্য পায়ে আলতো টাস লেগে কর্তোয়ার চোখের সামনে দিয়ে গোল হয়ে যায়।

এরপর ম্যাচের ৩৯ মিনিটে আবার গোল খায় রিয়াল। ক্লাব ব্রুসের ত্রাতা আবার সেই ডেনিস। রিয়ালের রক্ষণভাগ ওপরে উঠে গেলে সুযোগ পেয়ে যান তিনি। তবে এখানেও ভুল আছে কর্তোয়ার। তিনি গোল ছেড়ে হুট করে এগিয়ে আসলে সহজে গোলে শট নেওয়ার সুযোগ পেয়ে যান ডেনিস। রিয়ালের রক্ষণভাগ এগিয়ে আসলেও তাই কাজ হয়ন। প্রথমার্ধে ২-০ গোলের লিড নিয়ে মাঠ ছাড়ে সফরকারীরা। কর্তোয়ার ওপর বিরক্ত রিয়াল কোচ জিদান দ্বিতীয়ার্ধে তাকে আর মাঠে নামায়নি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অবশ্য রিয়াল ঘুরে দাঁড়ায়। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমান রিয়াল অধিনায়ক সের্গিও রামোস। তবে তার গোল নিয়ে আছে বিতর্ক। আরও একবার বিতর্কিত ভিএআর। এরপর ম্যাচের শেষ সময়ে (৮৫ মিনিটে) গোল করেন রিয়ালের আরেক ডিফেন্ডার কাসেমিরো। ব্রাজিলের এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের গোলে সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল।

তবে লজ্জার রেকর্ডে তার আগেই পা দেয় লস ব্লাঙ্কোসরা। ইউরোপের প্রতিযোগিতায় টানা তিন ম্যাচে ঘরের মাঠে অন্তত দুটি করে গোল খাওয়ার রেকর্ড করে তারা। রিয়ালের হয়ে এ ম্যাচেও আলো ছড়াতে পারেননি সাবেক চেলসির আরেক বেলজিয়াম তারকা এডেন হ্যাজার্ড। রিয়ালের হয়ে পাঁচটি অফিসিয়াল ম্যাচ খেলেও গোলহীন এই ফরোয়ার্ড। জিদানের জন্য যা চিন্তার বড় কারণ।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button