খেলালিড নিউজ

সাকিবের সাথে জুয়াড়ির কি কি কথা হয়েছিল?

কণিকা অনলাইন :

সাকিব আল হাসানের সাথে ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো যোগাযোগ করেন দিপাক আগারওয়াল নামের এক জুয়াড়ি (বুকি)।
মূলত তার সাথে হওয়া সকল যোগাযোগ আইসিসির কাছে দাখিল না করার দায়েই বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিবকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খবর বিবিসি বাংলা’র।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) সাকিবের শাস্তি সংক্রান্ত বিবৃতিতে বাংলাদেশি অল-রাউন্ডারের অপরাধের ধরণ এবং ঘটনাপ্রবাহ ব্যাখ্যা করেছে।
বিবৃতিতে আইসিসি বলছে, ২০১৭ সালে সাকিবের সাথে আগারওয়াল যখন যোগাযোগ করেন তার আগেই সাকিব জানতেন যে আগারওয়ালের কাছে তার ফোন নম্বর দেয়া হয়েছে।

সেবার সাকিব আল হাসানের সাথে দেখা করার অনুরোধও করেন মি. আগারওয়াল। পাশাপাশি, তিনি সাকিবের কাছে আরও কিছু ক্রিকেটারের ফোন নম্বর জানতে চান।
এরপর, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে ত্রিদেশীয় সিরিজের বিষয়েও দিপাক আগারওয়াল ও সাকিবের মধ্যে আবারও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু হয়।

২০১৮ সালের ১৯ জানুয়ারি একটি ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় হওয়ার জন্য আগারওয়াল সাকিবকে অভিনন্দন জানান।
অতপর আরেকটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় সাকিবকে প্রশ্ন করেন, ‘আমরা কি কাজ করছি? নাকি আইপিএল পর্যন্ত অপেক্ষা করবো?’ এখানে কাজ বলতে সাকিবের কাছে দলের ভেতরের তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে বলে মনে করে আইসিসি।
এরপর সাকিবকে আরও একটি বার্তা পাঠান আগারওয়াল। বার্তাটি এরকম: ‘ভাই, এই সিরিজে কোনো কিছু আছে?’ সাকিবের প্রধান অপরাধ এসব তথ্য তিনি আইসিসি বা বিসিবির কাছে রিপোর্ট করেননি।

২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল সাকিব হায়দ্রাবাদ সানরাইজার্সের হয়ে মাঠে নামেন, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে। সেসময় সাকিবের কাছে ‘নির্দিষ্ট’ কোনো ক্রিকেটার খেলছেন কিনা সেটা জানতে চান আগারওয়াল।
বুকি দিপাক আগারওয়াল এরপর বিটকয়েন, ডলার একাউন্ট ও ডলার একাউন্টের বিস্তারিত সম্পর্কে জানতে চান সাকিবের কাছে। সাকিব এসবের উত্তর দিতে গিয়ে বলেন, ‘আগে আমার সাথে দেখা করেন।’

২৬ এপ্রিলের আরও কিছু হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা মুছে ফেলা হয়েছিল। সাকিব আইসসিকে বলেন, এসব বার্তায় তার কাছে কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছিল।
সংস্থাটিকে দেয়া সাকিবের সাক্ষাৎকারে এটা নিশ্চিত করে যে তিনি এসব প্রস্তাবের কোনোটিতেই সায় দেন নি। তবে সাকিব কেনো এসব প্রস্তাবের কথা আইসিসির কাছে প্রকাশ করেননি?

আইসসি বলছে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সাকিবকে তিনবার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, কোনোবারই সাকিব সেকথা আইসিসিকে জানান নি। চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি ও ২৭ অগাস্ট সাকিবের সাক্ষাৎকার নেয় আইসিসি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button