অর্থনীতি

অভিযুক্ত ৬৬ গার্মেন্টসের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিজিএমইএ

বন্ড-সুবিধার অপব্যবহারে অভিযুক্ত ৬৬টি গার্মেন্টসের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। ইতিমধ্যে ২৬টি কারখানা বিজিএমইএর কাছে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে ব্যাখ্যা দিয়েছে। সম্প্রতি শুল্ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিজিএমইএর এক সভায় সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

বন্ড-সুবিধার অপব্যবহার ইস্যুতে ৬৬টি গার্মেন্টস কারখানার একাটি তালিকা বিজিএমইএর কাছে পাঠিয়েছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ঐ তালিকা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। এরপর গত ৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট অফিসে উভয় পক্ষের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের কমিশনার এস এম হুমায়ূন কবীর ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রাম, বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার ও বিজিএমইএর ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভার বিষয়বস্তু নিয়ে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের ভিত্তি একই ধরনের নয়। এগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, ‘আলোচ্য অভিযোগের বিষয়ে আমরা কারখানাগুলোকে মতামত দেওয়ার জন্য বলেছিলাম। ২৬টি কারখানা জবাব দিয়েছে। এটি আমরা বন্ড কমিশনারেট অফিসে দিয়েছি।’ তিনি আরো বলেন, সুতার ক্ষেত্রে দুই-তিন কাউন্টের হেরফের স্বাভাবিক। এটি কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন। এছাড়া বন্ড-সুবিধার অপব্যবহারকারী কারখানা ১ শতাংশেরও কম। এর জন্য পুরো খাত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না।

বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের তৈরি তালিকায় বেনাপোল কাস্টমস হাউজের তালিকায় থাকা ৮টি গার্মেন্টসের নাম অভিযুক্তের তালিকায় আসার বিষয়ে আপত্তি তোলে বিজিএমইএ। বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বলা হয়, ঐ কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগটি এখনো নিরীক্ষা পর্যায়ে। পরে সভায় ঐ কারখানাগুলোকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ।

সভায় বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বলা হয়, যারা সততার সঙ্গে ব্যবসা করছে, তাদের সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। অন্যদিকে যেসব প্রতিষ্ঠান খোলাবাজারে কাপড় বিক্রিসহ গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত, তাদের বিষয়ে উভয় পক্ষ পারস্পরিক তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে এই প্রবণতা বন্ধের পদক্ষেপ নেবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়।

বিজিএমইএর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রির অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, কাস্টমস বন্ড কমিশনার এস এম হুমায়ুন কবীর সেটা বিজিএমইএর নিজস্ব টিম দিয়ে গোপনে পর্যবেক্ষণের অনুরোধ জানান।

এছাড়া সভায় বিজিএমইএ কর্তৃক সদস্য কারখানাগুলোকে প্রদত্ত আমদানি প্রাপ্যতার ঘোষণা বা ইউডি অনুমোদন ও তা সংশোধনের ইস্যুটি গুরুত্ব পায়। সভায় কর্মকর্তারা বলেন, সংশোধিত ইউডির তথ্য বন্ড কমিশনারেট অফিস জানতে পারে না। এ বিষয়ে দ্রুত একটি সমাধান বের করার তাগিদ দেন তারা।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button