শেয়ার লেনদেনে তাৎক্ষণিক চোখ রাখবে এসইসি
পরবর্তী সময়ে ডিএসই টেসা’র পরিবর্তে নাসডাক ওএমএক্স ও ফ্লেক্সট্রেড সিস্টেম কোম্পানির সহযোগিতায় স্বয়ংক্রিয় অত্যাধুনিক ট্রেডিং সফটওয়্যার ডিএসই এক্সট্রিম আইনেট ম্যাচিং ইঞ্জিন ও ডিএসই ফ্লেক্সটিপি চালু করে। কিন্তু ডিএসই উক্ত সর্বশেষ প্রযুক্তির মডিউলটি কমিশনকে সরবরাহ করেনি।
ফলে বাজার উত্থান-পতনে ভূমিকা রাখা শীর্ষ ব্রোকার হাউস ও তাদের শীর্ষ গ্রাহকদের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত তথ্য ও নিট পজিশন লেনদেন চলাকালীন পর্যবেক্ষণ করতে পারে না ডিএসই। এমন পরিস্থিতিতে লেনদেনে ব্যবহৃত সর্বশেষ প্রযুক্তির মডিউলটির একটি টার্মিনাল এসইসিতে স্থাপনের জন্য ডিএসইকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
প্রসঙ্গত, টানা দরপতনের পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ ব্রোকার হাউস ও সে সব প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ গ্রাহকদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে গত জুলাই মাসে তদন্ত কমিটি করে এসইসি। সম্প্রতি ওই কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করে। ডিএসইর লেনদেন ব্যবস্থার সর্বশেষ প্রযুক্তির সঙ্গে কোনো সংযোগ না থাকায় শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউস ও তাদের শীর্ষ গ্রাহকদের শেয়ার কেনাবেচার তথ্য জানতে স্টক এক্সচেঞ্জের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে এসইসিকে। লেনদেনের সময় যাতে শীর্ষ বিনিয়োগকারীদের তথ্য রিয়েল টাইমে দেখা যায়, সে জন্যই লেনদেন ব্যবস্থার সংযোগ চায় এসইসি।
প্রসঙ্গত, বিদেশিদের পাশাপাশি স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপের কারণে গতকালও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ২৬ পয়েন্ট হারিয়েছে। জুন হিসাব বছর শেষ হওয়া কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণা শুরু হলেও বেশিরভাগ শেয়ারের দর কমতে দেখা যাচ্ছে। গতকালও ডিএসইর বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের দর কমে যাওয়ায় সূচক কমেছে। একই সঙ্গে লেনদেনও আগের দিনের তুলনায় ১০ শতাংশ কমে গেছে।
গতকাল সূচক কমাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল গ্রামীণফোনের। শীর্ষ মূলধনী এ কোম্পানির শেয়ার দর গতকাল ৯ টাকা ৪০ পয়সা কমে গেছে। ফলে কোম্পানিটি একাই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক প্রায় ৬ পয়েন্ট কমাতে ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া ইউনাইটেড পাওয়ার, বিএটি বাংলাদেশ, ব্র্র্যাক ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, আইডিএলসি, ইবিএল, সিটি ব্যাংক, একমি ও বার্জারের শেয়ারের দরপতন সূচক কমাতে ভূমিকা রেখেছে। বাজার সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, যেভাবে বিদেশিদের পাশাপাশি স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বিক্রিচাপ আসছে, তাতে সূচকটি আরও নিচে নেমে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।