সম্পাদকীয়

ঢাকা মেডিকাল কলেজ হাসপাতালের ব্যস্ততম ২নম্বর ভবনকে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য হস্তান্তর না করার আবেদন

গতকাল খবরে জানলাম ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১০ তলা বিশিষ্ট ২ নং ভবন, যেখানে ১২টি বিভিন্ন রোগের রোগীর ওয়ার্ড, বিভাগীয় ল্যাব, সুসজ্জিত বিভাগীয় ওটি, সিসিইউ, পোস্ট-সিসিইউ, শতাধিক কিডনি রোগীদের ৩কক্ষ বিশিষ্ট ডায়ালাইসিস সেন্টার, জরুরী বিভাগসহ ডাক্তার-নার্সদের কক্ষ সর্বদা রোগীদের সেবায় নিয়োজিত, সেটা নাকি করনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে। এই ভবনে সর্বদায় কমপক্ষে গড়ে ২ হাজার রোগী ভর্তি থাকে,আউটডোরে শত শত রোগীর কথা বাদই দিলাম।সেই ভবনকে খালি করে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে, কেন নিয়ে যাওয়া হবে, করোনা রোগীদের কেন এই ভবনেই শিফট করতে হবে তার কোন যৌক্তিক কারন ছাড়াই যে সিধান্ত নিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় তা তোঘলকি কারবার ছাড়া কিছু নয়। ক’দিন থেকেই শুনে আসছিলাম পাশেই নবনির্মিত ১৫-তলা বিশিষ্ট ‘শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউট’ করোনা চিকিৎসার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। উক্ত ভবন সুসজ্জিত অবস্থায় থাকলেও এবং রোগী না থাকলেও ডাক্তার সামন্ত লাল সেনের ইচ্ছেতেই ওই বরাদ্দ পরিবর্তন করে ব্যাস্ততম ঢাকা মেডিকাল কলেজ হাসপাতালের ২নং ভবন খালি করে করোনা চিকিৎসার জন্য খালি করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়। শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউট ছাড়াও পাশে রয়েছে সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল যেখানে কোন রোগীই নেই। এই দুই হাসপাতালকে খালি রেখে ব্যাস্ততম ঢাকা মেডিকাল কলেজ হাসপাতালের ২ নং ভবন কেন খালি করে করোনা রোগীদের জন্য বরাদ্দ করা হল এ বিষয়ে কোন যৌক্তিক জবাব কোন কর্তৃপক্ষের নিকট না পেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষন করে নিবেদন করছি এই তোগলকি সিদ্ধান্ত বাতিল করে চিকিতসাধীন রোগী ও ডাক্তারদের দুশ্চিন্তা দুর করতে মর্জি হয়।

প্রসংগত উল্লেক্ষ্য যে এই ২ নং ভবন সংলগ্ন রয়েছে মুল ভবনের জরুরী বিভাগসহ আরও ১২টি বিভিন্ন রোগের ওয়ার্ড, আইসিইউ, ঢাকা মেডিকাল কলেজ, ঢাকা নার্সিং কলেজ, হোস্টেল, স্টাফ কোয়ার্টার, আনবিক শক্তি কমিশন ল্যাবসহ আরো গুরুত্ব পুর্ন স্থাপনা যেগুলো ঝুকির মুখে পড়বে! অপরদিকে শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউট সম্পুর্ন স্বতন্ত্রভাবে নির্মিত যা এখনও ব্যবহারি করা হয়নি।

-মোঃ আনিসুর রহমান
সম্পাদক,দৈনিক সংবাদ কনিকা

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button