আন্তর্জাতিক

হাজিয়া সোফিয়াতে ১ বছরে ভ্রমণ করেছে ৩০ লাখ মানুষ

তুরস্কের ঐতিহাসিক হাজিয়া সোফিয়া মসজিদে এক বছরে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ ভ্রমণ করেছে। সরকারি কর্মকর্তা সূত্রের বরাতে তুরস্কভিত্তিক ডেইলি সাবাহর খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের হাজিয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তরের ঘোষণাটি ছিল নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক। ২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিভিন্ন বিধিনিষেধ ছিল। তারপরেও হাজিয়া সোফিয়া মসজিদের জনপ্রিয়তা যেকোনো সময়ের থেকে সর্বাধিক। গত এক বছরে মসজিদটিতে ৩০ লাখের বেশি মানুষ ভ্রমণ করেছেন।

মুস্তফা ইয়াভুজ নামে ঐতিহাসিক হাজিয়া সোফিয়া মসজিদের প্রতিবেশী ‘ব্লু মসজিদের’ মুফতি বলেন, তুরস্ক এবং বিশ্বের মানুষদের জন্য হাজিয়া সোফিয়া অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থনার জায়গা। এটা ইসলামি পরিচয়ের অংশ। বিভিন্ন দেশের ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে হাজিয়া সোফিয়া মসজিদে ভ্রমণকারীদের সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে।

ডেইলি সাবাহর খবরে বলা হয়েছে, হাজিয়া সোফিয়া মসজিদের প্রতি তুরস্কের নাগরিকরাও ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছেন। গত ১ জুলাইয়ে তুরস্কে কারফিউ প্রত্যাহারের পর অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন মসজিদটিতে ভ্রমণ করছেন।

২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত হাজিয়া সোফিয়া মসজিদে সপ্তাহের যেকোনো দিন অন্তত ৫ হাজার দর্শণার্থী ভ্রমণ করেছেন। আর সপ্তাহান্তিক দিনগুলোতে অর্থাৎ প্রত্যেক ছুটির দিনে অন্তত ১২ হাজার মানুষ হাজিয়া সোফিয়া মসজিদ পরিদর্শন করেছেন।

হাজিয়া সোফিয়া নির্মিত হয় বাইজান্টাইন আমলে। মুসলমানরা ইস্তানবুল জয় করার পূর্বে এটি ৯১৬ বছর ধরে খ্রিস্টানদের গির্জা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এরপর স্থাপত্যটি ১৪৫৩ সাল থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫০০ বছর মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৯৩৪ সালে বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের পতনের পর মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক স্বাক্ষরিত এক ডিক্রিতে মসজিদটিকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়। বিগত ৮৬ বছর ধরে এটি জাদুঘর হিসেবেই ছিল।

২০২০ সালের ১০ জুলাই তুরস্কের সর্বোচ্চ আদালত কামাল পাশার ওই ডিক্রি বাতিল করেন। এরপর প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান স্থাপনাটি মসজিদে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন। গত বছরের মে মাসে ইস্তাম্বুল বিজয়ের বর্ষপূর্তিতে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান হাজিয়া সোফিয়াতে নামাজ আদায় করেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button