রাজশাহী বিভাগসারাদেশ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে চিঠি লিখে মাদরাসা ছাত্রের আত্মহত্যা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ “আমার জীবনের শেষ কথা, আমি সব করেছি আমার জ্বিনের জন্য” এই চিঠি লিখে আত্মহত্যা করেছে এক হাফেজিয়া মাদরাসার ছাত্র। ১৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুর ১২টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি বেলের গাছ থেকে মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত মাদরাসা ছাত্র জুনায়েদ আল হাবিব (১৮) নওগাঁ জেলার পৌরশা গ্রামের  গোপালগঞ্জ গ্রামের মো. লুৎফুর রহমান ছেলে।চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের পাঠানপাড়াস্থ ফুড অফিস সংলগ্ন আর্দশ হাফেজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র জুনায়েদ স্থানীয় একটি ওয়াক্তিয়া মসজিদে ইমামতিও করতো। ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।
আর্দশ হাফেজিয়া মাদরাসার পরিচালক চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুল মতিন জানান, গতরাত (শুক্রবার দিবাগত) ৩ টার সময় তাঁর হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা পড়ার জন্য ঘুম থেকে উঠলে জুনায়েদ সিদ্দিককে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করে। পরে মাদ্রাসা কোন জায়গায় না পেয়ে জুনায়েদের গ্রামের বাড়িতে সকালে ফোন কলের মাধ্যমে জানতে চাইলে তারাও জানায় সে বাসায় যায়নি। এরপর জুনায়েদকে খোঁজাখুঁজি অব্যাহত থাকে। মাদরাসা পরিচালক বলেন, সকালে বাজার করতে গিয়েছিলাম, আমাকে কল করে জানানো হয় জুনায়েদ মাদ্রাসার পেছনে নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বেলের গাছে সৌদি আরবের একটি রুমালে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। ঘটনার কথা শুনে তাৎক্ষণিক সদর মডেল থানাকে বিষয়টি অবহিত করলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
কয়েকজন মাদরাসা ছাত্র জানায়, উদ্ধারকৃত লাশের দেহ তল্লাসি করলে মাজা থেকে একটি চিঠি পাওয়া যায় এবং চিঠিতে লিখা আছে “আমার জীবনের শেষ কথা, আমি যা করেছি আমার জ্বিনের জন্য”।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন মুঠোফোনে বলেন, মাদরাসা কর্তৃপক্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতার লাশ উদ্ধার করেছে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। নিহতের দেহ তল্লাশি করে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে এটি আত্নহত্যা।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button