সারাদেশ

চিরিরবন্দরে রোপা আমনে মাজরা পোকা ও গোড়া পঁচা রোগের আক্রমণ

মো. জামাল উদ্দিন, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: ধান-লিচুতে ভরপুর জেলার নাম দিনাজপুর। ১৩ উপজেলা নিয়ে এ জেলা গঠিত। এর মধ্যে ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত চিরিরবন্দর উপজেলা। উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রোপা আমনে সবুজের সমারোহ। সবুজের মাঝে লাল বিপদ সংকে হয়ে দেখা দিয়েছে মাজরা পোকা ও গোড়া পঁচা রোগ। এলাকায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা আসে না বলে কৃষকদের অভিযোগ।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রোপা আমনে সবুজের সমারোহ বাতাসে দুলছে ধান ক্ষেত। আর কিছু দিনের মধ্যে ধানে থোর বা শিষ আসবে। এর মধ্যে ধান ক্ষেতে মাজরা পোকা ও গোড়া পঁচা রোগ দেখা দিয়েছে। কৃষরা তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা দিয়ে নানা ধরণের কীট নাশক স্প্রে করে যাচ্ছে। যেমন ভিত্তকর, ফাইটার (তরল), রাজগাট, এ-মিষ্টারটপ, রাজজল, ফরাষ্টিন ইত্যাদি। এতে আশানুরুপ ফল পাচ্ছেন না।
উপজেলার গছাহার গ্রামের সুধাকর দাস, পরিমল দাস, অনয় দাস, তনয় দাস, বিকাশ দাস, আব্দুল জব্বার, একরামুল, নিশিত দাস, সুজন দাস, পুলক দাস। চকগোবিন্দ গ্রামের আলমগীর, আলাউদ্দিন, হামিদুল, ওয়াহেদ আলী, আব্দুল লতিফ, দক্ষিণ নশতপুর গ্রামের মনিরাম রায়, মোকছেদ হাজি, পরিতোষ বাবু, কৃষ্ণ রায়সহ অধিকাংশ আমন ক্ষেতে এ রোগ দেখা দিয়েছে। এদের অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ধান ক্ষেতে মাজরা পোকা ও গোড়া পঁচা রোগ দেখা দেওয়ায় আমরা আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও কীটনাশক বিক্রেতাদের পরামর্শে কীট নাশক স্প্রে করে যাচ্ছি। তারা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের এ বিপদের সময় এলাকায় কোন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা আসছেন না।
মাজরা পোকা ও গোড়া পঁচা রোগ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্তকর্তা কৃষিবিদ মো. মাহমুদুল হাসান জানান, গোড়া পঁচা রোগের এক মাত্র কারণ অতিবৃষ্টি। পানি জমে থাকার কারণে এ রোগ হয়ে থাকে। আর যে সব জমিতে পার্চিং করা হয়নি ওইসব জমিতে মাজরা পোকা আসতে পারে। যারা পার্চিং করেছে তার এর সুফল পাচ্ছে। সঠিক ভাবে গোড়া পর্যন্ত কীটনাশক স্প্রে করলে এ রোগ থেকে ক্ষেত রক্ষা পাওয়া যাবে। তবে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। (ছবি আছে)

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button