রংপুর বিভাগসারাদেশ

নীলফামারীতে ১৯০ মে: টন সরকারি চাল চুরির অভিযোগে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: “ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে” প্রবাদ বাক্যটির বাস্তব প্রমান দিলেন নীলফামারীর ডিমলা সরকারি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসিএলএসডি) শুধাংশু কুমার রায়। অনিয়ম এবং চুরির অপরাধে রংপুর থেকে বদলি হয়ে এসে এখানে আবারও চুরি করে ধরা পড়লেন।
১৯০ মে:টন চাল এবং সাড়ে ১৩ হাজার বস্তা আত্মসাতের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে গত সোমাবার তিনি সাময়িক বরখাস্ত হলেন।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৪ জুন ওই উপজেলার খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে হিমাংশু যোগদানের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে না না অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। তার ওইসব অনিয়মের ভিত্তিতে চলতি বছরে ২৪ মার্চ জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের পক্ষ হতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ওই দিন তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দীন অভি জানান, তদন্তে তার বিরুদ্ধে প্রায় ১৯০ মে:টন চাল এবং ১৩ হাজার ৪২৫ টি খালি বস্তা আত্মসাতের প্রমান পাওয়া গেছে। যার বাজার মূল্য ৯৩ লাখ টাকা। তিনি আরও জানান ওই কর্মকর্তা এর আগে রংপুরের পীরগঞ্জে ভেন্ডাবাড়ি খাদ্যগুদামে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকেও তাকে নানা অনিয়মের অভিযোগে বদলি করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর খাদ্য বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং তদন্ত কমিটি খাদ্যগুদামে গেলে ওই খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা পালিয়ে যায়। পরে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে ভারপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তা পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে ওই উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জগদিশ চন্দ্র থানায় একটি সাধারন ডায়েরিও করেছেন।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজ উদ্দীন শেখ বলেন, খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিমাংশুর বিরুদ্ধে ৯৩ লাখ টাকা আত্বসাতের একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তাকে ধরতে জোর চেষ্টা চলছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button