শেরপুরে পিকনিকের ট্রলি উল্টে নিহত ২
শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের শ্রীবরদীতে পিকনিক থেকে ফিরে বক্স দিয়ে ট্রলি যোগে বাড়ী ফেরার পথে ট্রলি উল্টে ২ জন নিহত ও আরা অন্তত ১০ জন আহত হয়েছ। মঙ্গলবার রাতে শ্রীবরদী সদর ইউনিয়নের মামদামারী এলকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। দূর্ঘটনার পর থেকেই
নিহতরা হলো শ্রীবরদীর খরিয়া কাজিরচর ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রামের আবু তালেবের ছেলে ইসমাইল (১৮), সেলিমের ছেলে সাইদুল মিয়া (১৮)।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়া গ্রামের ৩০ জন ছাত্র-যুবক লেগুনা গাড়ী যোগে গারো পাহাড়ের গজনী অবকাশে পিকনিক করতে যায়। আর সেখান থেকে সন্ধ্যায় এলাকায় ফিরে আসলেও ১৫ জন পিকআপ ভ্যানে করে বক্স দিতে শ্রীবরদী বাজারে যায়। সেখানে বক্স নামিয়ে ট্রলি দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় দ্রুতগামী ট্রলি গাড়িটি মামদামারী এলাকায় উল্টে রাস্তার পার্শ্বে পড়ে যায়। এসময় ট্রলি থেকে লাফ দিয়ে দুই যুবক বাঁচলেও বাকী ১২ জনের মধ্যে ঘটনাস্থলেই ইসমাইল ও সাইদুল মারা যায়। তবে তাদেরকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন। আহত হয় আরো অন্তত ১০ জন। এঘটনার পর থেকেই ট্রলি চালক একই এলাকার সুজন মিয়া পলাতক রয়েছে।
আহতদের মধ্যে, ওই এলাকার সাগর (২২), মামুন (১৮), লোকমান (১৭), আরিফ (১৬), রাশেদ আলী (১৭), হাফিজুর (১৮), সাকিল (২৫) ও জুয়েল (১৪) কে শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকী দুইজন শ্রীবরদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাকিল নামে একজনকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার ডাঃ হুমায়ুন আহমেদ নূর জানান, শ্রীবরদী হাসপাতাল থেকে রোগী পাঠানো হচ্ছে। এদের মধ্যে দুইজন ঘটনাস্থলেই মারাগেছে। বাকীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভর্তিকৃত শাকিল মিয়ার অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
এলাকাবাসীদের মধ্যে নুরুজ্জামান নয়ন জানান, আমাদের এলাকার ছেলে গুইলা পিকনিকে গেছিলো। পরে তারা শ্রীবরদী ভক্সদিবার যায়। আবার ট্রলি দিয়ে আসার পথে ট্রলি উইর্টা দুইজন মারাযায়। বাকী ১০ জন আহত হয়েছে।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আবুল হাশেম জানান, ট্রলি চালক পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।