রংপুর বিভাগসারাদেশ

সৈয়দপুরে অনেকের মধ্যে একজন গেরিলা মানবিক যোদ্ধা প্রকৌশলী রাশেদুজ্জমান

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: বাবা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের একজন অন্যতম সংগঠক। দেশকে মুক্ত করতে নিজের জীবনবাজি রেখে শত্রুদের সাথে করেছেন সম্মুখ লড়াই । পিতার দেখানো সেই পথেই আজ তার সন্তান করোনা পরিস্থিতির শিকার নীলফামারীর সৈয়দপুরে অসহায় মানুষের সহায়তায় জন্য নিরবে বলা যায় অনেকটা গোপনে গেরিলা যোদ্ধার মতো মানবিক যুদ্ধ করছেন রাশেদুজ্জামান।
গতকাল সকাল ৬ টায় সরেজমিনে জানা যায়, স্বাধীনতার পর প্রথম নীলফামারী -৪ আসনের সাবেক সাংসদ মরহুম আলিম উদ্দীনের বড় ছেলে প্রকৌশলী রাশেদুজ্জামানের বাড়িতে একজন যুবক খাদ্যসামগ্রী, নতুন শাড়ী, লুঙ্গীসহ কিছু অর্থ নিয়ে প্রাধান দরজায় বসে আছেন। ছেড়া ও জীর্ণ কাপড় পড়া এক বৃদ্ধাকে ওই যুবক একটি নতুন শাড়ী ও নগদ ২ ‘শ টাকা দিয়ে চলে যেতে বললে বৃদ্ধা সেখানে দাড়িয়ে থেকে বিড়বিড় করে কিছু একটা বলছিলেন। তাকে বলার পরও সেখান থেকে ওই বৃদ্ধা যাচ্ছিলেন না। এমন সময় ভিতর থেকে রাশেদুজ্জামান তার পকেট থেকে ১ হাজার টাকার একটি নোট বের করে দিয়ে ওই যুবককে বলল কি আর করার অসহায় ওই মানুষগুলো তো সখ করে এভাবে আর হাত পাতছে না অন্যের কাছে। এভাবেই তিনি নিরবে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ব্যক্তিগত তহবিল থেকে মানবিক সহায়তা অব্যাহত রেখেছেন। পাশাপাশি মা বর্তমান সংরক্ষিত আসনের নারী সাংসদ রাবেয়া আলিমকেও তার কাজে সহায়তা করে চলেছেন। প্রচারবিমুখ ওই প্রকোশলী ইতোমধ্যে তার মানবিক কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে আলোচনায় এসেছেন। দলমত নির্বিশেষে সকলেই তার কার্যক্রমের প্রশংসা করছেন। বিশ্বমহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অসহায়ত্বের শিকার মুচি সম্প্রদায়,সাইকেল মেকার, মৎসজীবি,শহরের ক্যাম্প গুলোতে বসবাসকারী অবাঙ্গালীসহ প্রায় ৩ সহশ্রাধিক নারী-পুরুষের মাঝে স্বাস্থ্যনিরাপত্তা উপকরন, খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করেছেন । অব্যাহত রেখেছেন সহায়তা এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার সন্ধায়, শহরের দুর্গামিলে আটকেপড়া পাকিস্থানী ক্যাম্পের ইউনাইটেড স্কুলের সুবিধাবঞ্চিত ৫০ জন শিশু শিক্ষার্থীর হাতে ঈদ উপহার সামগ্রী তুলে দেন। উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, চিনি, সেমাই, তেলসহ প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী। ওই স্কুল চত্বরে অনুষ্ঠিত স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সাহিদ হোসেন তাজের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত ওই ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে পৌর মৎসজীবি লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হাসান মামুন তালুকদার,সাবেক ছাত্র লীগ নেতা ফাহিম আলম মিতুল,সজিব, পৌর মৎসজীবি লীগ নেতা রহমত আলী, হাসিম, নবাব, রিজওয়ানসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। শহরের বাশবাড়ি আটকেপড়া পাকিস্থানী ক্যাম্পে বসবাসকারী লাড্ডান নামের এক অবাঙ্গালী যুবক বলেন, আমি দর্জির কাজ করি কিন্তু লকডাউনের কারনে দোকান বন্ধ থাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কস্টে দিন কাটাচ্ছিলাম। সেই সময় রাশেদ ভাই আমাদের পাশে না দাড়ালে না খেয়ে থাকতে হতো। স্টেশন এলাকার ২২ বছর বয়সের আরমান নামের এক মুচি বলেন জুতা সেলাই করেই আমাকে সংসার চালাতে হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন এক বেলা খেয়ে আর দু’বেলা না খেয়ে দিন কাটাচ্ছিলাম সেই মুহুর্তে রাশেদ ভাই আমার পরিবাররের পাশে এসে দাড়িয়েছে খাদ্যসহায়তা নিয়ে। আশরাফুল হাসান মামুন তালুকদার বলেন, রাশেদ ভাই তার মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সবার ইতিবাচক আলোচনায় এসেছেন। এমন মন্ত
ব্য অনেকেরই। এ ব্যাপারে প্রকৌশলী রাশেদুজ্জামান বলেন, কিছু পাওয়ার আশাতে নয় বরং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মানবিক কারনেই এই দুর্যোগ কালীন আমি আমার সাধ্যমত অসহায় মানুষদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button