সৈয়দপুরে মিটার দিতে প্রকৌশলীর ঘুষ দাবি, হয়রানির শিকার গ্রাহক
নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিদ্যুতের মিটার পাল্টাতে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেছেন। তা না দেওয়ায় হয়রানি করা হচ্ছে। চাপানো হচ্ছে ভূতুরে বিল। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও মিলছে না কোনো প্রতিকার। এমন অভিযোগ একজন গ্রাহকের। বুধবার দুপুরে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের মাঝে বিষয়টি তুলে ধরেন শহরের কয়ামিস্ত্রিপাড়া এলাকার বাসিন্দা ভুক্তভোগী আইনুল হক।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আইনুল হক নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানীর (নেসকো) একজন গ্রাহক। তাঁর হিসাব নম্বর ৩১১/ডি। বকেয়ার দায়ে গত বছরের জুন মাসে তাঁর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার নিয়ে যায় টাউন-২ ফিডারের কর্মকর্তা উপ-সহকারি প্রকৌশলী মাহফুজার রহমান। বকেয়ার দায়ে মামলাও মোকাবিলা করতে হয় ওই গ্রাহককে। বকেয়া ও ক্ষতিপূরণ পরিশোধের পর ওই বছরের ১৯ আগস্ট নতুন মিটারের জন্য ব্যাংকে টাকা জমা দেন আইনুল হক। কিন্তু নতুন করে মিটার দেওয়ার জন্য প্রকৌশলী মাহফুজার তাঁর কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু আইনুল হক তা দিতে না দেওয়ায় এক মাস বিলম্বে মিটার সংযোগ দেওয়া হয়। নতুন মিটার সংযোগের মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে তাঁর আগের মাসের বকেয়া বিল দেখানো হয় ৬৩ হাজার ৫শ’ ৪৪ টাকা। কিন্তু আগের মাসগুলোতে বিদ্যুৎ বিল ছিল সামান্য পরিমাণ । বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গেলে কোন সদুত্তর পাননি ভুক্তভোগী আইনুল। এরই মধ্যে চলতি বছরের মে মাসে প্রাকৃতিক দূর্যোগে নস্ট হয়ে যায় মিটারটির ডিসপ্লে। নতুন মিটারের জন্য আবেদন করেন ওই ভুক্তভোগী। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ফিটারের প্রকৌশলীর দাবিকৃত ঘুষের টাকা না পাওয়ায় ঘুরাতে থাকেন আইনুল হককে। এ অবস্থায় মিটারে বিল প্রদর্শণ না হলেও প্রতিমাসে আনুমানিক বিল ধরা হচ্ছে যা অনেক বেশি।
নেসকোর উপ-সহকারি প্রকৌশলী মাহফুজার রহমানের সাথে কথা বলতে গেলে এক কর্মচারীকে দিয়ে তিনি সংবাদকর্মীকে এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলতে বলেন।
এ বিষয়ে নেসকোর সৈয়দপুর অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিতরণ) মোস্তাফিজুর রহমান জানান তিনি কর্মস্থলে নতুন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।