বগুড়ায় ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
বগুড়া শহরে ছাত্রদল এবং ছাত্রলীগের নেতা-কর্মিদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সিলেট শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগের দাবিতে জেলা ছাত্রদলের প্রতিকী অনশন কর্মসূচি চলাকালে আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছেন দুই সংগঠনের নেতারা।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবু হাসান বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহীদ খোকন পার্কে শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির পদত্যাগের দাবিতে সকাল ৯টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি চলছিল। বেলা সোয়া একটার দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে পার্কে ঢুকে ছাত্রদল নেতা-কর্মিদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা ও ধাওয়া করে। তবে এ সময় হামলা প্রতিহত করে ছাত্রদল নেতা-কর্মিরা।
এ দিকে, জেলা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস বলেন, ছাত্রলীগ কোন হামলা করেনি। খোকন পার্ক সংলগ্ন নেসকো অফিসের গেটে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী চা পান করতে যায়। এ সময় ছাত্রলীগ-নেতাকর্মিদের দেখে ছাত্রদলের সভাপতি আবু হাসান প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর বক্তব্য দেয় এবং তারা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মিদের ধাওয়া করে। করোনাকালে যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানতে কড়াকড়ি চলছে, সেখানে শাস্তি বিধি ভঙ্গ করে ছাত্রদল সমাবেশ ও অনশন করার অনুমতি পায় কিভাবে বলে প্রশ্ন তোলেন। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদেরকে পাল্টা ধাওয়া দেয়। পরে ছাত্রলীগ শহরে শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ।
বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর তাজমিলুর রহমান বলেন, শহীদ খোকন পার্ক এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে আবু আশরাফ সিদ্দিকী রাকিব নামে ছাত্রদলের এক নেতা পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে তাকে দলীয় নেতাদের হেফাজতে দেওয়া হয়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় বিএনপি অফিসের সামনে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করা হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বগুড়া সদর থানার ওসি মো: সেলিম রেজা জানান, দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পরিস্থিতি আর যাতে অবনতি না ঘটে সেজন্য বিএনপি ও আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের আশেপাশেসহ শহরের সাতমাথা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।