রাজশাহী বিভাগ

সফলতার দুই বছর বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ কুমার দাসের

সফলতার দুই বছর বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  দিলীপ কুমার দাসের, তিনি বড়াইগ্রাম থানায় যোগদানের পর থেকে নিজ যোগ্যতা আর দক্ষতার বলে বড়াইগ্রামে সচেতন ও সাধারণ এলাকাবাসীর মন জয় করেছেন। সেই সাথে একজন সফল ওসি হিসেবে যত গুণাবলী প্রয়োজন তা তিনি দেখাতে সক্ষম হয়েছেন। বড়াইগ্রাম থানায় যোগদানের পর থেকে থানা এলাকা থেকে টাউট-বাটপার ও দালালদের দৌরাত্ম বন্ধ হয়েছে। পুলিশী সেবা গ্রহীতাদের এখন আর দূর্ভোগ পোহাতে হয় না। মাদক বিরোধী অভিযানেও সফল হয়েছেন বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ দিলীপ কুমার দাস।
ধনী-গরীব সবার জন্য ওসির দরজা সব সময় উন্মোক্ত করেছেন তিনি। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, চুরি, ছিনতাইসহ সকল অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভুমিকা পালন করছেন ওসি দিলীপ কুমার দাস। বড়াইগ্রাম থানায় তার দুই বছর পূর্ণ হল তাই এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ কালে ওসি দিলীপ কুমার দাস বলেন, মানুষের সেবা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা আমার দায়িত্ব। ওসি হিসেবে যতদিন কর্মরত আছি, ততদিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিরলস ভাবে আমার দায়িত্ব পালন করবো। যাতে করে মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে ও সস্থিতে থাকতে পারে। তিনি বলেন, আমি মানবতা ও মানবিক দৃষ্টিকোণ দিয়ে সকল সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। কেউ যদি কোথাও সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসা, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই করে আর সে ঘটনা যদি পুলিশকে জানানো হয় তাহলে তথ্য দাতার পরিচয় গোপন রেখে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। তিনি আরো বলেন অপরাধ দমনের পাশাপাশি উপজেলাকে মাদক মুক্ত রাখতে সফল হয়েছি। তিনি অপরাধ দমনে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য সবার প্রতি আহবান জানান। আমি ২১/০৫/১৮ইং তারিখে বড়াই গ্রাম  থানায় যোগদান করেছি, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী লিখিত দিয়ে মাদক ব্যবসা ছেড়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছে, পূর্বের যে কোন সময়য়ের চেয়ে বড়াইগ্রাম অপরাধ প্রবনতা কমে গেছে, এটা আমাদের বিরাট সাফল্য। এবার আসি মানবিক ব্যক্তির কথায়। ওসি দিলীপ কুমার দাস চাকরি জীবনে যে থানায় কর্মরত ছিলেন সেখানেই অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে প্রশংসিত হয়েছেন । গরীব আর অসহায়ের সহায় বলেই তিনি পরিচিত ।পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের যে সাধারণ ধারণা, সেই জায়গায় দিলীপ কুমার দাস একদমই ব্যতিক্রমী চরিত্রের ব্যক্তিত্ব। তিনি বরাবরই অসহায় মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন সারাক্ষণ, সরকারি দায়িত্বের পাশাপাশি রাতের আঁধারে অসহায় পরিবারের মাঝে ব্যক্তিগতভাবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন। অসহায় সাধারণ মানুষ জানিয়েছেন, মানুষ হতে হলে কী ধরনের মানবিকতাবোধ থাকতে হয়, দিলীপ কুমার দাস বুঝিয়ে দিয়েছেন বড়াইগ্রাম বাসীকে।
চলমান করোনা সংকটে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্যদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ না করে গোপনে তাদের বাড়িতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দিচ্ছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। তার সমাদৃত এ উদ্যোগ মানুষের হৃদয়ে স্থান পেয়েছে ।ফুলমতি বড়াইগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী ছিলেন ।২০১৮ সালে জেএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে পাশ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।দীর্ঘদিন ধরে সে মেরিনজাইটিস রোগে ভুগছেন।ফুলমতির বাড়িতে ছুটে গিয়ে সহযোগিতার হাতটি বাড়িয়ে দেন বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ কুমার দাস।করোনা সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে হাতে হ্যান্ডমাইক নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন বড়াইগ্রাম থানার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত।হ্যান্ডমাইকে বিরামহীন ভাবে বলে চলেছেন করোনা নিয়ে সাবধানতা ও সতর্ক থাকার কথা । সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহবান জানাচ্ছে নিজে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে হাট বাজার  জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করছেন । হোমকোয়ান্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের বাসায় বাসায় গিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন  সাধ্যমত সাহায্য সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন ।
নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস বলেন, দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে নাটোরের সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় ও অনুপ্রেরণায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি অসহায় অনেক পরিবারকেই এমন মানবিক সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছি। জাতির এ সংকটে সমাজের বিত্তবানদের  অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো সামাজিক দায়বদ্ধতা

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button