জাতীয়

তথ্য গোপন করে ঢামেকে করোনা রোগীর চিকিৎসা: সার্জারি বিভাগসহ গ্রাম লকডাউন

তথ্য গোপন করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) এক করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা ও মারা যাওয়ার পর লাশ গায়েবের ঘটনায় হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের ৫ নস্বর ইউনিট লকডাউন করা হয়েছে। একইসঙ্গে এই ইউনিটের অন্যান্য রোগীদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। আর সার্জারি বিভাগের যে চিকিৎসক ও নার্সরা মৃত ওই ব্যক্তিকে চিকিৎসা দিয়েছেন তাদেরকেও হোম কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে।

এদিকে ওই মৃত ব্যক্তিকে দাফনকৃত মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান গ্রামটিও লকডাউন করেছে প্রশাসন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) উপ পরিচালক ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, সার্জারি বিভাগে এক রোগী মারা গেছেন। করোনা পরীক্ষা করে তার রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।আমরা ওই ওয়ার্ডটি জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করেছি। আপাতত সেখানে কোনো রোগী নাই। আর যে চিকিৎসকরা ওই রোগীর সেবা দিয়েছেন তাদেরকে বাসায় থাকার কথা বলা হয়েছে। যদি কারো কোনো সমস্যা দেখা দেয় তবে ঢামেকে টেস্টের ব্যবস্থা আছে টেস্ট করা হবে। আক্রান্ত হলে তাদেরকে আইসোলেশনে রাখা হবে।

জানা গেছে, নিহত ওই ব্যক্তি সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পশ্চিম শিয়ালদী এলাকার বাসিন্দা। তিনি ঢাকায় বাসা ভাড়া করে থাকতেন। সিরাজদিখানের একটি মাদ্রাসার সাবেক মুহতাতিম (মাদ্রাসা প্রধান) তিনি। বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে মারা যান তিনি।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার ওই ব্যক্তি ঢাকার ভাড়া বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্বজনেরা তাঁকে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেন। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা উপসর্গ দেখে ধারণা করেন, তিনি করোনায় আক্রান্ত। তাঁকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। স্বজনেরা হাসপাতালের কাউকে না জানিয়ে লাশ নিয়ে চলে আসেন সিরাজদিখানের পশ্চিম শিয়ালদী গ্রামে। করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তিসহ পুরো বিষয়টি গোপন রাখা হয়। ফলে বৃহস্পতিবার জানাজা ও দাফনের সময় অনেক লোকসমাগম ঘটে।

মারা যাওয়া ব্যক্তির এক ভাতিজা বলেন, তাঁর চাচা দীর্ঘদিন ধরে ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছিলেন। এতে তাঁরা ভেবেছিলেন, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি। তাই জানাজা ও লাশ দাফনের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো নিয়ম মানা হয়নি। কিন্তু পরে জানতে পেরেছেন, তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button