এক নারীর সঙ্গে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাহমুদুল আলমের অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বৃহস্পতিবার সকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠপ্রশাসন অনুবিভাগ) আ. গাফফার খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
গাফফার খান বলেন, দিনাজপুরের ডিসির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ অভিযোগের সত্যতা আছে কিনা তা নানাভাবে দেখা হচ্ছে, বিভাগীয় তদন্ত কমিটি কাজ করছে। প্রমাণ পাওয়া গেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের কোনো সিদ্ধান্ত আপাতত নেই বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব।
সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় ডিসির সঙ্গে নিজের অনৈতিক সম্পর্কের তথ্য ফাঁস করেন এক নারী। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ভিডিওটি।
ভিডিওবার্তায় ওই নারী দাবি করেন, ডিসি মাহমুদুল আলম নানা প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সেই ফাঁদে পা দিয়ে সংসার ভেঙেছে তার।
ওই নারী আরও দাবি করেন, জামালপুরের ডিসির নারী কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন দিনাজপুরের ডিসি মাহমুদুল। ঘটনা জানাজানি হলে হত্যার হুমকিও দেয়া হয় বলে অভিযোগ তার।
নিপীড়নের শিকার হওয়া ওই নারী এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিসির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করার পর দিনাজপুরে তোলপাড় শুরু হয়। ভিডিওতে তিনি উল্লেখ করেছেন, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিতে তার সঙ্গে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
পরে জেলা প্রশাসক ওই নারীর সঙ্গে ভিডিও কল রেকর্ড, মোবাইল কল রেকর্ডসহ যাবতীয় তথ্যাদি মুছে দিতে বলেন এবং বিষয়গুলো কাউকে না জানাতে বলেন। পরে তার চাকরি থেকে বহিষ্কার ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে রাজাকারের সন্তান বানিয়ে দেয়ার হুমকি দেন। প্রাণে মেরে ফেলতে পারে তাই এ ভিডিও করেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অভিযোগকারী ওই নারী দিনাজপুরে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
এদিকে এ ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ঊর্ধ্বতনরা তদন্ত করতে গেছেন, তারাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।’
এর আগে জামালপুরের ডিসির একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড এবং ২৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের দুটি ভিডিওতে জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরকে তার নারী অফিস সহকারীর সঙ্গে বেশ অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা গেছে। ভিডিও দুটি ভাইরাল হওয়ার পর সমালোচনার মুখে তাকে ওএসডি করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।