ঈমানের দুর্বলতা, কারণ ও প্রতিকার
প্রতিনিয়ত আমরা বিভিন্ন গুনাহর মাধ্যমে নিজেদের ঈমানকে দুর্বল করে তুলছি; অথচ তা পরিমার্জন করার কখনো চিন্তা করছি না। এভাবে চলতে চলতে একসময় আমাদের ঈমান শক্তিহীন হয়ে পড়বে। তখন তা আর কোনো কাজে আসবে না।
ঈমানের দুর্বলতার নিদর্শনসমূহ-
১. হারাম ও গুনাহের কাজে নিমজ্জিত হওয়া
৩. ইবাদতে শৈথিল্যতা প্রদর্শন করা
৪. কোরআনের আয়াত দ্বারা প্রভাবিত না হওয়া
৫. অনর্থক ঝগড়া-বিবাদ বা তর্ক-বিতর্ক করা
৬. মুসলমান ভাইয়ের বিপদাপদে খুশি হওয়া
৭. দুনিয়ার প্রতি আকর্ষণ ও এর প্রতি ঝুঁকে পড়া
৮. হারাম কাজ সংঘটিত হতে দেখলেও ক্রোধের সঞ্চার না হওয়া
৯. কথা ও কাজে অমিল হওয়া
১০. মুসলমানদের সমস্যার ব্যাপারে গুরুত্ব না দেয়া
ঈমানের দুর্বলতার কারণসমূহ-
১. ঈমানি পরিবেশ থেকে দীর্ঘদিন দূরে থাকা
২. সৎ ও অনুকরণযোগ্য ব্যক্তি থেকে দূরে থাকা
৩. শরিয়তের জ্ঞান ও ঈমানি বইপত্র থেকে দূরে থাকা
৪. গুনাহগারদের মাঝে অবস্থান করা
৫. গুনাহকে হালকা ভাবা
৬. ধন-সম্পদ ও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মেতে থাকা
৭. বদদ্বীন, মুনাফিক ও কাফির শাসকদের সঙ্গে উঠাবসা করা
৮. বেশি খাওয়া, বেশি ঘুমানো ও অত্যাধিক রাত্রি জাগরণ
৯. অনর্থক কথাবার্তা বলা
১০.দুনিয়ার মোহে মগ্ন হওয়া
ঈমানের দুর্বলতা দূরকরণের উপায়-
১. অধিক পরিমাণে কোরআন তিলাওয়াত করা
২. বিনয়ী হওয়া ও দুনিয়ার চাকচিক্য পরিত্যাগ করা
৩. বেশি বেশি মৃত্যুকে স্মরণ করা
৪. নিয়মিত ইসলামি আলোচনা সভায় উপস্থিত হওয়া
৫. নফল আমলে অভ্যস্ত হয়ে ওঠা
৬. আল্লাহকে ভালোবাসা ও অধিকহারে তাঁর জিকির করা
৭. মুমিনদের সঙ্গে সম্পর্ক ও কাফিরদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করা
৮. আত্মসমালোচনা করা
৯. কামনা-বাসনা কম করা
১০. আল্লাহর কাছে রোনাজারি ও দুয়া করা
আমাদের প্রত্যেকেরই ভাবা উচিত, ঈমানের দুর্বলতার এসব কারণ নিজের মধ্যে আছে কিনা। থাকলে কেন এবং কীভাবে তা দূর করা যায়, সেটা নিয়ে আজ থেকেই সচেতন হওয়া উচিত।