জিমনেশিয়াম নেই কাবাডি দলের, তবুও আশাবাদী খেলোয়াড়রা
আগামী ডিসেম্বরে নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হবে সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের ১৩তম আসর। এই আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের অ্যাথলেটরা তাদের নিজ নিজ প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
এসএ গেমসের কাবাডিতে বাংলাদেশ নিয়মিতই অংশ নিয়ে আসছে। এই ডিসিপ্লিনে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ স্বর্ণ পদক অর্জন করতে পারেনি। বিগত চার আসরে ব্রোঞ্জ পদক নিয়েই সন্তষ্ট থাকতে হয়েছে। ১৯৯৫ সালে সর্বশেষ রৌপ্য পদক পেয়েছিল বাংলাদেশ।
আসন্ন এসএ গেমসের জন্য বাংলাদেশ কাবাডি দল প্রস্তুতি শুরু করেছে। ভারতীয় কোচ স্যাঞ্জু রামের অধীনে অনুশীলন করছে বাংলাদেশ। এসএ গেমসকে সামনে রেখে বাংলানিউজকে নিজের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন তিনি।
স্যাঞ্জু রাম বলেন, ‘শেষ তিন মাস খেলোয়াড়রা ক্যাম্পের মধ্যেই আছে। যদিও সময়টা বেশি না। বাস্তবতা হলো বাংলাদেশে কাবাডিতে বেশ পিছিয়ে আছে। তাই আমার জন্যও এটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে তারা ভালো করবে। কারণ তাদের মধ্যে সেই চেষ্টা আছে, যে আমাদের ভালো করতে হবে।’
বাংলাদেশ কাবাডি দলের ইরানি ফিজিও হাসান ইস্তিখর মনে করে তার দলের খেলোয়াড়রা ফিটনেসের দিক দিয়ে এখন বেশ এগিয়ে। তবে জিমনেশিয়াম থাকলে উন্নতির সম্ভাবনা আরও বাড়বে। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে দলের খেলোয়াড়দের ফিটনেস লেভেল অনেক ভালো। ইরান, কোরিয়া, ভারতের মতো বড় বড় দল গুলোর সাথে তুলনা করলে ভালো অবস্থানে রয়েছে। তবে একটা জিমনেশিয়াম থাকলে সেটা খেলোয়াড়দের জন্য আরও ভালো হতো, ফিটনেস লেভেলটা আরও ওপরে উঠতো। তবে সাউথ এশিয়ান গেমসে আশা করি আমরা পদক জিততে পারবো।’
খেলোয়াড়রাও প্রস্তুত এসএ গেমসের চ্যালেঞ্জ নিতে। খেলোয়াড় নাসের বলেন, ‘নতুন কোচের অধীনে অনুশীলন করছি। ভালোই উন্নতি হয়েছে আমাদের। তবে জিমনেশিয়ামের সুবিধাটা থাকলে অারও ভালো হতো। তবে আমরার আশাবাদী এসএ গেমসে এবার পদক জয়ের ব্যাপারে।’
পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না থাকলেও প্রস্তুতিটা ভালোই হয়েছে বলে মনে করছেন কোচ ও খেলোয়াড়রা। উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের ভারতে নিয়ে ক্যাম্পের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ফেডারেশন। আগামী ০১ ডিসেম্বর নেপালের কাঠমান্ডুতে পর্দা উঠবে সাউথ এশিয়ান গেমসের ১৩ তম আসরের।